Tuesday, January 04, 2011

বিচারবহির্ভূত হত্যার তদন্ত হওয়া উচিত: মরিয়ার্টি

বিচারবহির্ভূত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে যাঁরা মারা গেলেন, তাঁদের বিষয়ে মানুষের জানার অধিকার আছে। প্রতিবছরই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।
এই হত্যাকাণ্ডগুলো সম্পর্কে সরকারের উচিত তদন্ত করা। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জেমস এফ মরিয়ার্টি এ কথা বলেন। তিনি সেখানে ‘সুশাসন: বিশ্বজুড়ে সামাজিক উন্নয়নে জ্ঞান তৈরি’ শীর্ষক একটি সিম্পোজিয়ামে অংশ নেন। বাংলাদেশের ইনডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্রের মনমাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট যৌথভাবে এ সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে।
বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী ও ইসলামি জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের যে পর্যালোচনা উইকিলিকসে প্রকাশিত হয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে জেমস মরিয়ার্টি বলেন, ‘আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্রের বাস্তব পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াশিংটনে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে চেষ্টা করি। তাঁরা যাতে আমাদের কর্মক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পান। এই আলোচনার মানে এই না যে, এটাই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নীতি বা অবস্থান।’
উইকিলিকসের নথি প্রকাশের ফলে ভবিষ্যতে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে হবে উল্লেখ করে মরিয়ার্টি বলেন, ‘এই নথি প্রকাশের ফলে সবচেয়ে বড় যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা হলো—ভবিষ্যতে জনসমক্ষে কোনো বিষয় প্রকাশ করতে বা তুলে ধরতে গেলে তখন অনেকে বলবে, এটা তো উইকিলিকসের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে আগেই প্রকাশিত হয়ে গেছে। আমরা তো মরিয়ার্টির অবস্থান সম্পর্কে জানি।’
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ব্র্যাক ও গ্রামীণ ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক এবং ব্যক্তি হিসেবে অধ্যাপক ইউনূস সামাজিক উন্নয়নে নতুন ধারার সূচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতেও আমরা ইউনূস ও গ্রামীণ ব্যাংককে সহায়তা করে যাব।’
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে বললে জেমস মরিয়ার্টি বলেন, ‘আমরা যেকোনো সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসনের কথা বলে থাকি। বিরোধী দলের মতামত নিয়ে কাজ করার পক্ষেও আমাদের অবস্থান আমরা সব সরকারের সময় জানিয়েছি। একই সঙ্গে আমরা এও আশা করি, বিরোধী দল সংসদে গিয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি রবার্ট ব্ল্যাকের বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত বলেন, রবার্ট ব্ল্যাক যুক্তরাষ্ট্র সরকারের হয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। মূলত খাদ্যনিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আলোচনা করতে তিনি বাংলাদেশে আসছেন।

No comments:

Post a Comment